প্রকাশিত: ১৯/১০/২০১৮ ৯:১৯ এএম

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রের জন্য প্রায় সাড়ে সাত লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে তালিকা তৈরি করার জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। বৃহস্পতিবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের ১৮ তারিখের মধ্যে ভোট করার পরিকল্পনা করছে ইসি।

কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি। এরই অংশ হিসেবে প্রাথমিক একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নভেম্বরের ৭ তারিখে মধ্যে তফসিল দিয়ে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনো দিন ভোট করা হতে পারে। তবে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ১২ থেকে ১৪ তারিখে তফসিল দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনাটি কমিশন বৈঠকে তোলা হবে। সেখানে আলোচনা করে কমিশন অনুমোদন দেবে।

সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচনের ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রের ২০ লাখের অধিক ভোটকক্ষের জন্য প্রায় সাড়ে সাত লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রস্তুত করবে ইসি। এ লক্ষ্যে ইসির উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে মাঠকর্মকর্তাদের। এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রয়োজন হবে সাত থেকে সাড়ে সাত লাখ। তফসিল ঘোষণার পরপরই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হবে। ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ হবে। তারপর প্যানেল থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখের বেশি ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি; ভোটকক্ষ ছিল এক লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। সে সময় ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৫৭৭ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন।

সংসদ নির্বাচনে বরাবরই বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এবার কাদের দায়িত্ব দেয়া হবে- সে সিদ্ধান্ত কমিশন সভায় নেয়া হবে।

জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র লাগবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং অফিসার, কেন্দ্রপ্রতি দুইজন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রতি ভোটকক্ষে দুইজন করে পোলিং অফিসার থাকবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার অনুপাতে দুই বা ততোধিক ভোটকক্ষ থাকে। তাতে ৮-১০ জন পোলিং অফিসার লাগবে কেন্দ্রপ্রতি। সব মিলিয়ে এবার সাড়ে সাত লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা।

ভোটের কারণে প্রাথমিকের পরীক্ষায় সূচি বদল
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। ১১-১৮ ডিসেম্বর এই পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এখন ২৯ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তা শেষ করতে বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব শিক্ষা কর্মকর্তাদের আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের আদেশে বার্ষিক পরীক্ষার সূচিতে পরিবর্তন আনার বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

পাঠকের মতামত

ফের লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবারও চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে ...

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সব কমিটি স্থগিত

শাহবাগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ। ছবি: সংগৃহীত কেন্দ্রীয় ...

শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে অভিভাবকের ফোন নম্বর যুক্ত করার নির্দেশ

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে বাবা-মা বা অভিভাবকের ফোন নম্বর সংযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ...